করে সে সেই রক্ষক প্রভুর থেকে মুক্তির চেষ্টা করছিল যে সদ্য দৈত্যে পরিণত হয়েছে; আর হায়াকুহেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিল।
হায়াকুহেই সেই মুহূর্তে শারীরিক শক্তির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছিল যা তার মাংসপেশি আর রক্তবাহের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল আর কিওকোর মুক্তি পাবার সেই বৃথা প্রচেষ্টা তার হাসির খোরাক জোগাচ্ছিল। তার লম্বা, ঘন, কালো চুল তাদের দু’জনকেই এমনভাবে আঁকড়ে ধরছিল যেন সেই নিজেই একটা জলজ্যান্ত প্রাণী। সেই মধ্যরাতের মতো মিশমিশে কালো চুলের প্রান্তভাগগুলো এমনভাবে কিওকোর পিছনে একে-অপরের সাথে একটা লোহার ফিতের মতো করে নিজেদের বুনে নিচ্ছিল যাতে কিওকো তার ছোট্ট শরীরটাকে হায়াকুহেইয়ের শরীরে পড়ে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে।
কিওকো তার শরীরের সেই টানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছিল যা তাকে হায়াকুহেইয়ের শরীরে মিশিয়ে দিচ্ছিল। কিওকো সেই অন্ধকার, শীতল শূন্যের মধ্যে পড়ে যেতে চাইছিল না যা আসলে হায়াকুহেইয়ের অন্তরাত্মা। সে সেই শূন্যের মধ্যে তার জন্য অপেক্ষারত সমস্ত দৈত্যদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছিল। কিওকোর শরীরের যে যে অংশ সেই শূন্যের মধ্যে প্রবেশ করছিল সেই সেই অংশ শীতল হয়ে উঠছিল। তার পা দুটো ঠাণ্ডা হয়ে বরফের মতো হয়ে গেছিল এবং তার পায়ের সমস্ত ত্বক জুড়ে কেউ যেন লক্ষ-লক্ষ পিন ফুঁটিয়ে দিচ্ছিল।
কিওকো বুঝতে পারছিল যে, সে যদি দ্রুত কিছু একটা না করতে পারে তাহলে সে তার দুটো পা-ই হারাবে। কিওকো সেই পাঁচ ভাইকে দেখতে পাচ্ছিল যারা গত কয়েক বছর ধরে তার রক্ষা করে আসছিল... তারা দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে তাকে দেখছিল। তারা প্রত্যেকেই তাকে বাঁচাতে চাইছিল কিন্তু যতক্ষণ অবধি তাকে একটা বর্মের মতো করে সামনের দিকে ধরে রাখা হয়েছে ততক্ষণ অবধি তারা তার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল।
কিওকো রক্ষকদের বিশ্বাসঘাতকের