আস্বাদ গ্রহণ করেছিল।
তার সুগন্ধের স্মৃতি অন্যান্য সমস্ত স্মৃতিকেই তাজা করে দেয়। "ঋত্বিকা, আমরা শীঘ্রই তোমার শক্তি আবার ফিরিয়ে আনব। তুমি তা লুকিয়ে রাখতে চাইতে পার... কিন্তু বেশি দিন তুমি তা পারবে না।" বারান্দার দেওয়াল থেকে সে ঝুঁকে দেখছিল, তার সোনালী চোখ কিওকোকে ততক্ষণ অবধি অনুসরণ করল যতক্ষণ সে দৃষ্টির বাইরে চলে না গেল।
*****
নিচে নেমে কিওকো যেন একটু হাঁফ ছাড়ল। এখন সে এখানে তার বয়সের অনেক ছেলে-মেয়েকে দেখতে পেল। উপরের তলার সমস্ত বিস্ময় ও বিহ্বলতা এক দীর্ঘশ্বাসে ঝেড়ে ফেলে কিওকো এখানে যেন নিজের জন্য আলাদা করে কিছুটা মুহূর্তের সন্ধান পেল।
নিজের চেতনা যখন কাউকে বিহ্বল করে তোলে তখন তা থেকে নিজেকে মুক্ত করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় তার মনে হয় তার এই ধরনের চেতনা একেবারেই না এলে সে হয়ত শান্তিতে বাঁচতে পারে। ভবনের এক তলার এই বিরাট হল ঘরে এসে সে তার মনের মধ্যে চলে আসা সেই সব চেতনাকে মনের সুদূর কোণে ঠেলে দিল। “এটা চালু ও বন্ধ করার একটা সুইচ পেলে ভাল হত,” সে বিড়বিড় করে বলল, কিন্তু সাথে সাথে একটু আগেই মনের মধ্যে যে অদ্ভুত কম্পণ হচ্ছিল তাকেও অনুভব করতে পারছিল।
সে গ্রন্থাগারের দিকে তাকাল, আর তারপর দ্রুত পিছন ফিরে ওদিকটা দেখে নিল। সে আসলে গোটা জায়গটা সম্পর্কে ভালভাবে জেনে-বুঝে নিতে চাইছিল। সে যতদূর মনে করতে পারে, শারীরিক কসরত করে চলাটা তার অভ্যাসের একটা অংশ এবং এখানেও সে তার বাইরে থাকতে রাজি নয়। গত দু’বছর ধরে সে সব ধরনের মার্শাল আর্ট শিখছিল, এবং এর ফলে তার গোটা শরীরে যে ধরনের স্বাচ্ছন্দ এসেছিল তা তার খুবই পছন্দের ছিল।
বিনোদনের ঘরগুলো পেরিয়ে গিয়ে সে একাধিক শারীরিক কসরতের জায়গা বা জিম দেখতে পেল। এগুলোর মধ্যে বড় একটা জিমের একটা কাঁচের দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে বাইরেটা দেখা যাচ্ছিল।