তাহলে এতক্ষণে তোমার মাথাক ঘিলুটা তোমার কান দিয়ে বেরিয়ে যেত।”
শিনবেও তার ভ্রু ততধিক বিস্ময়ে কুঁচকে বলল, “তুমি জান আমি তোমার রুক্ষ ভালবাসা পেতে ভালবাসি।”
“আমি এক্ষুণি তোমাকে সেই রুক্ষ ভালবাসা আবার দিতেই পারি, কিন্তু আমি এই নতুন মেয়েটাকে তা দিয়ে ভয় পাইয়ে দিতে চাইছি না,” সুকি চকিতে উত্তর দিল।
এরই মধ্যে কিওকোর ওকে পছন্দ হয়ে গেছে, আর তাই সুকির বাড়িয়ে দেওয়া হাত সে জোরে চেপে ধরল এবং হাসল। "আমার নাম কিওকো হোগো, কিন্তু তোমরা আমাকে শুধুই কিওকো বলতে পারো।"
সুকির পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে সে তাকাল। “তোমাদের দু’জনের সঙ্গেই মিলিত হয়ে খুব ভাল লাগল।” ওই যুবকের চোখে কিছু একটা ছিল যেটা কিওকোর মনোযোগ আকর্ষণ করল। চোখ দুটির রং অসাধারণ নীল এবং খুবই মনোরম ছিল। তার মাথার চুল তার কাঁধেরও কিছুটা নিচে নামে এবং তা ঘন কালো এবং তাতে নীল হাইলাইট রয়েছে। তার চেহারা-ছবি কিওকোকে কিছুটা ৮০-র দশকের রক গায়কদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
সুকির মুখে চওড়া হাসি ছিল। "আমি কিন্তু তোমার ব্যাপারে শুনেছি। হ্যাঁ, আর আমি এ-ও জানতাম যে, তুমি আজ আসছ। আমি আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার খোঁজে বেরোতাম এবং তোমাকে ঠিক খুঁজে বের করে নিতাম।” সুকি হঠাৎ করে ওর মুখের দিকে একটু কাতর দৃষ্টিতে তাকাল এবং তার মাথাটা একদিকে ঘুরিয়ে শিনবের উপর দৃষ্টি রেখে বলল, “তোমার জায়গায় আমি হলে আমি তা করব না।”
কিওকো তার মাথা কাত করে দেখল। অবশ্যই... ছেলেটার হাত মাঝ পথে থেমে গেছিল, যা সুকির পিছনটা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিল, এবং সে দুষ্টুমি-মাখা হাসি হাসছিল।
শিনবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের হাতটা নামিয়ে নিল, “ পিছনে না দেখেও তুমি কীভাবে বুঝতে পার একদিন আমি তা ঠিক ধরে ফেলব।”
সুকি গম্ভীর কণ্ঠে বলল, “আমি এটা পারি, আর সেটাই সব!” কিওকোর দিকে মিষ্টি হাসি নিয়ে