কিওকোর ক্রুদ্ধ চোখের কটমট করা চাউনির পুরস্কারও পেয়ে গেল। যা হোক, কিওকো ভাবছিল সে অধিপতিকে কাবু করে নেবে। কিউয়ের উপরেও যদি তার এই ক্রুদ্ধ চোখের চাউনি কাজ করে যায় তাহলে তো ভালই। কিন্তু তয়া যেটা ভেবে ভয় পাচ্ছিল সেটা ও নিজের চোখে দেখেছিল যে, কীভাবে কিউ যে কোন ব্যক্তিকে মুখে একটি কথাও না বলে তার মধ্যে প্রবেশ করে তাকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারত।
“ভাল কথা, তুমি প্রস্তুত হলেই আমি তোমাকে ওর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেব,” তয়া ওকে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই কথাগুলো বলল এটা দেখার জন্য যে, ও সেটা নেয় কিনা।
এই কথা শুনে কিওকোর রাগ কিছুটা প্রশমিত হল। সে তার খাবার প্লেটটাকে ঠেলে সরিয়ে দিল, মাথা নেড়ে তয়ার ধাপ্পাবাজির যোগ্য জবাব দেবার জন্য বলে উঠল, “তুমি প্রস্তুত হলেই আমিও প্রস্তুত।” সে তার একটা দিকের চোখের ভ্রু তুলে ওর চ্যালেঞ্জের জবাব দিল।
"এত তাড়া কীসের?" তয়া একটু হেসে উঠে দাঁড়াল। “আমি চাই তুমি তোমার রাগের হাঁড়িতে একটু ঢাকনা চাপা দাও কারণ ও সেটা ধরে ফেলতে পারে,” একটু হেসে তয়া ওকে কথাগুলো বলল, এই ভেবে নিয়ে যে ও ঠিক কী করতে চলেছে সে ব্যাপারে ওর কোন ধারণাই নেই।
কিওকো চোখ ছোট করে তয়ার দিকে তাকাল এবং উঠে দাঁড়াল, তারপর সুকি আর শিনবের দিকে পিছন ফিরে তাকাল। “আমার হয়ে গেলে আমি তোমাদের সঙ্গে কথা বলব, তোমরা যদি আমাকে এসে নিয়ে যেতে পার। আমি আমার ঘরেই অপেক্ষা করে থাকব আর আমরা আজ সন্ধ্যায় যাবার কথা ভাবতে পারি।” সে সুকিকে ইশারা করল এবং তারপর তয়ার দিকে ফিরে তাকাল এবং ভাবলেশহীন কণ্ঠে তাকে বলল। “মানে, আমি যদি থাকার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে।”
তয়া মুচকি হেসে কিওকোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং কিওকো দেখল সে ধীরে ধীরে তার থেকে দূরে চলে যেতে যেতে অন্যদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে কিছু ইশারা করল। কিওকো লক্ষ্য করল ওই ইশারা