আজ সকালে আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছিলে তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ,” কিওকো কিছুটা উত্তেজিত কণ্ঠে কথাগুলো বলল, এই ভেবে যে, কোতারো হয়ত তার সঙ্গে ততটা পরিচিতের মতো আচরণ করবে না। সে ভাবল কোতারো বেশ ভাল ছেলে এবং সেইটুকুই, কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, সে তার দুই কাঁধে হাত রেখে কথা বলতে পারে।
কোতারো এ সবে কোনভাবেই প্রভাবিত না হয়ে দ্রুত কিওকোর একটা হাত তার মধ্যে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করল, "তোমাকে কি আর কোথাও পৌঁছে দিতে পারি, কিওকো?" সে কিওকোর পান্না-সম চোখে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল, এটা জেনেই যে সে আগেও এই চোখ দুটিকে দেখে... কোন এক জায়গায়। আর তার মনের মধ্যে আবছা একটা অনুভূতি এইরকম হচ্ছিল যে, সে হয়ত এই দুই চোখে ডুবও দিয়েছিল কখনও।
কিওকো সিঁড়ির উপর তাকিয়ে দেখল তয়া থেমে গেল এবং ঘুরে তাকাল, তাকে আবার ক্রুদ্ধ দেখাচ্ছে। সে হলফ করে বলতে পারে সে তয়াকে গজগজ করতে শুনেছিল, তার উপরেই হোক বা কোতারোর উপরে, কার উপর সে ব্যাপারে সে নিশ্চিত হতে পারল না।
কোতারোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে তয়ার কোন ধারণা ছিল না, কিন্তু সে যে কিওকোর সঙ্গে অতটা ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল সেটা ওর পছন্দ হচ্ছিল না। ভিতর থেকে উঠে আসা একটা গর্জন-সহ তয়া সতর্ক করে দিল, “আমি সেটা দেখে নেব, কোতারো, যদি না তুমি ওকে কিউয়ের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যেতে চাও।” সে কটমট করে কোতারের দিকে তাকাল, এটা জেনেই যে, কোতারো ক্লাস ছাড়া বা ডেকে না পাঠানো ছাড়া কিউয়ের ধারে-কাছে ঘেঁষতে চাইবে না।
কোতারো কিওকোর হাতটা ছেড়ে দিল, “আশা করি সব ঠিকঠাকই আছে, কিওকো।” এই বলে সে তয়ার দিকে কটমট করে তাকিয়ে আবার কিওকোর দিকে ফিরল, “এখানকার বাসি খাবার-দাবার সম্পর্কে খেয়াল রেখে চলবে। ও যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তোমার হয়ে আমি ওর ব্যবস্থা করে দেব।” কোতারো তয়ার দিকে কিছুটা দাম্ভিক দৃষ্টিতে তাকাল আর