প্রশ্ন করে থাকেন নাকি, মিস্টার…?” সে কিছুটা তোতলার মতো কথাগুলো বলে ফেলল এমনকি তার নাম পর্যন্ত না জানতে চেয়ে।
কিউ হাসল, কিন্তু মনে-মনে, তাই কিওকোর চোখে তা ধরা পড়ল না। তবে সে বলতেই পারত কিওকোর মধ্যে এখনও প্রাণবন্ততা রয়েছে এবং তাতে সে এতটুকু হতাশ হয়নি। বরং সে তার মধ্যে আরও প্রাণোচ্ছলতা দেখতে চাইছিল। "মিস্টার লর্ড, কিন্তু আপনি আমাকে কিউ বলেই ডাকতে পারেন, যদি না লর্ড নামটাই আপনার বেশি পছন্দ হয়।" এরপর ও খুব উষ্ণ দৃষ্টিতে কিওকোর মুখের উপর তাকিয়ে ওকে একেবারে কাবু করে দিল।
কিওকোর উপর তার প্রভাব ভালই পড়ল, "কেন… আমি… কি… এখানে?" সে প্রত্যেকটা শব্দ আস্তে-আস্তে এবং আলাদা-আলাদা করে বলেছিল, যেন সে কোন বাচ্চার সাথে কথা বলছে। কিউ তার এর থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসে সেটাই দেখার। ‘মিস্টার লর্ড না ছাই।’ কিওকো নিজের মধ্যেই তাচ্ছিল্যের সুর ভরে নিল, তার চোখ থেকে চোখ না সরিয়েই।
কিওকোর মনের অবস্থা বুঝতে পেরে কিউয়ের সোনালি চোখ দুটি জ্বলে উঠল এবং ছোট হয়ে কিওকোর পান্না রংয়ের চোখের উপর কেন্দ্রীভূত হল। সে কিওকোর দিকে একটু ঝুঁকল, এটা বুঝতে পেরেই যে এতে কিওকো একটু ঘাবড়ে যাবে। সে ব্যাপারটা বুঝতে পারছিল।
“আপনার পৌরোহিত্যের শক্তি দুর্বল এবং অপ্রশিক্ষিত, না হলে আপনি বুঝতে পারতেন আমি কীভাবে বুঝলাম আপনি একজন ঋত্বিকা,” সে কিছুটা হিসহিস শব্দে কথাগুলো কিওকোকে বলল, শুধু একবারে জন্য তার শান্তভাব হারিয়ে যার পরেই আবার তা তার চোখে-মুখে ফিরে এসেছিল। “আমি আপনাকে মার্শাল আর্ট শেখাব, আপনার শক্তি বৃদ্ধির শিক্ষা-সহ... যেটার অভাব আপনার মধ্যে রয়েছে।”
কিওকোর কাছে তার এই কথাগুলোর মধ্যে শেষেরটা কিছুটা অপমানের মতো লাগল। কিছুটা মাথা-গরম স্বভাবের বলে পরিচিত কিওকো এবার কিউয়ের দিকে ঝুঁকে প্রায় তার মুখের কাছে মুখ নিয়ে গেল এবং