Amy Blankenship

সময়ের অন্তর


Скачать книгу

কিউয়ের দৃষ্টি থেকে কিওকোকে আড়াল করে। সে ওকে রক্ষা করতে চাইছিল।

      কিউও কিছুক্ষণের জন্য হলেও তার বাকশক্তি হারিয়েছিল, হাজার বছরের ব্যবধানে প্রথমবারের জন্য কিওকোকে এভাবে তার এতটা কাছে দেখে। কিওকোর চারিপাশে ঘুরতে থাকা দমকা বাতাস তাকে স্মৃতি হাঁতড়াতে প্ররোচিত করল... সেই একই অকাট্য প্ররোচনা যা অতীতেও তাকে ওর কাছে নিয়ে এসেছিল, যা আজও হারিয়ে যায়নি।

      ওর সোনালি চোখের উদাসীন দৃষ্টি কিওকোর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ষকের উপর পড়ল। “তুমি যেতে পারো, তয়া।” একটা বিপজ্জনক হুমকিপূর্ণ ভারী আওয়াজ বেরিয়ে এলো ওর গলা থেকে।

      তয়া গলাতেও এক ধরনের গর্জন তৈরি হচ্ছিল এবং এবং তার হাতের তালু দুটো ক্রুদ্ধ মুঠোয় পরিণত হচ্ছিল কারণ স্মৃতির গভীর গহ্বর থেকে এক ধরনের অজানা ভয়ের অনুভূতি মাথা চাড়া দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছিল মনের ভিতর থেকে। আর একটিও কথা না বলে তয়া ঘুরে দাঁড়াল এবং দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দ্রুত পায়ে সেখান থেকে চলে গেল।

      তয়ার চলে যাওয়াটা কিওকো দেখল কিন্তু একই সাথে তার মনের ভিতরটা তখন একগুচ্ছ স্মৃতি আর চিন্তায় তোলপাড় হচ্ছিল। হঠাৎ করেই তার মধ্যে তয়ার পিছনে-পিছনে দৌড়ে বেরিয়ে যাবার একটা তীব্র ইচ্ছার ঢেউ খেলে গেল। কিন্তু শেষ অবধি নিজেকে এভাবে ভীতু প্রতিপন্ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সে আস্তে করে তার চিবুক ওপরে তুলল এবং মুহূর্তের মধ্যে মনোবল ফিরে পেল, এবং শেষ অবধি পিছন ঘুরে যখন চোখ রাখল সে যা দেখল তাকে বিশ্বাস করতে তার ইচ্ছা হল না।

      লম্বা বিজনে-সস্যুট পরিহিত একজন বয়স্ক লোককে দেখার বদলে সে তার মুখো-মুখি যাকে দেখল... তার সোনালি চোখ কিওকোর চোখ দুটিকে গলিয়ে দিয়েছিল এবং তার সেই চোখ দুটো থেকে নিজের চোখ সরিয়ে নেবার অনেক চেষ্টা করেও সে পেরে উঠল না। তার রূপালী চুলের ঢেউ তার দুই কাঁধের